আজকে আমরা আলোচনা করব দশম শ্রেণীর বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এর সমস্ত প্রশ্ন এবং উত্তর নিয়ে ।
দশম শ্রেণীর বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এর সমস্ত প্রশ্ন এবং উত্তর
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখাে :
১. তপনের মনে হয় আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন - তপনের এমন মনে হওয়ার কারণ কী ?
উত্তর :-
ছােট মেসাে মশাই এর উদ্যোগে সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় তপনের লেখা গল্প ছেপে বেরোলে, সে
তার মাকে গল্পটি পড়ে শুনাতে যায়। সে দেখে সংশােধনের নামে ছোট মেসোমশাই লেখার
আগাগোড়াই বদলে দিয়েছেন। সে যে লেখা ছাপতে দিয়েছিল তার সঙ্গে ছেপে আসা লেখার কোন
মিল নেই। লজ্জায়, অপমানে তপন ভেঙে পড়ে । সে বুঝতে পারে তার লেখা কাঁচা হাতের তবুও
যদি সেই লেখা ছাপা হতো তাহলে তার মনে আনন্দ জন্মাতো । আর ছাপা না হলেও এতটা দুঃখ
তার হত না।
২. আমাদের ইতিহাস নেই - এই উপলব্ধির মর্মার্থ লেখাে।
উত্তর :-
ইতিহাস আসলে জাতির আত্মবিকাশের গৌরবময় কাহিনী, তার ঐতিহ্যের পুনরুদ্ধার। কিন্তু
যখন সেই ইতিহাস নিয়ন্ত্রিত হয় কোন ক্ষমতাবান গোষ্ঠী সম্প্রদায় কিংবা রাজনীতির
দ্বারা, তখন ইতিহাসের বিকৃতি ঘটে। ক্ষমতাবানরা নিজেদের স্বার্থে ইতিহাসকে নিজেদের
মতো করে গড়ে তোলে তখন মানুষ একসময় ভুলে যায় তার প্রকৃত ইতিহাস আর চাপিয়ে দেওয়া
ইতিহাসকে নিজেদের বলে মেনে নেয় । এই পরিপেক্ষিতে এখানে উক্ত উক্তিটি তুলে ধরা
হয়েছে ।
৩. এল মানুষ ধরার দল - তাদের আগমনের আগে আফ্রিকার স্বরূপ কেমন ছিল ?
উত্তর :-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আফ্রিকা কবিতটি তে আফ্রিকার আদিম সময় থেকে তার নানান রূপের
ছবিকে তুলে ধরেছেন। বিশ্ব সৃষ্টির প্রথম পর্বে স্রষ্ঠা যখন' নিজের প্রতি অসন্তোষে'
তার নতুন সৃষ্টিকে বারবার ধ্বংস করেছিলেন সেই সময় -রুদ্র সমুদ্রের"বাহু প্রাচী
ধরিত্রীর বুকের থেকে/ ছিনিয়ে নিয়ে গেলাে তােমাকে, আফ্রিকা"। আলফ্রেড ওয়েগনার তার
পাত সংস্থান তত্ত্বের মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন মহাদেশের একটি ভূখন্ড থেকে
বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার যে তত্ত্ব দিয়েছিলেন, তাই যেন রবীন্দ্রনাথের লেখায় রূপ
পেয়েছে। সৃষ্টির শুরু থেকে আফ্রিকা ছিল আদিম অরণ্যে ঘেরা।'দুর্গম এর রহস্য আর
দুর্বোধ সংকেত ছিল সেই আফ্রিকার গড়ে ওঠার বিশেষত্ব। সেই সময় প্রকৃতি তাকে
দিয়েছিল জাদুমন্ত্র। কবির কথায়, বিভীষিকায় যেন হয়ে উঠেছিল এই আফ্রিকার মহিমা যা
দিয়ে সে আসলে নিজের যাবতীয় ভয় কে পরাজিত করতে চেয়েছিল।
৪. সব মিলিয়ে লেখালেখি রীতিমতাে ছােটোখাটো একটা অনুষ্ঠান -প্রবন্ধ অনুসরণে মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করাে।
উত্তর :-
এক সময়ে রোগা বাঁশের কঞ্চি কেটে কলম তৈরি করা হতো কালিজাতে গড়িয়ে না পড়ে তাই
মুখটা চিরে দেওয়া হতাে। লেখা হতো কলার পাতায়। কালো নিজেদেরই তৈরি করতে হতাে।
কাঠের উনুনে রান্না করা কড়াই এর তলার কালি লাউ পাতা দিয়ে ঘষে তুলে তা পাথরের
বাটিতে রেখে জলগােলা হত। তারপর খুন্তি পুড়িয়ে ছ্যাকা দিয়ে ফোটানো হত। বাঁশের কলম
মাটির দোয়াত ঘরে তৈরি কালি আর কলার পাতাতে লেখকের প্রথম লেখালেখি। শহরের হাইস্কুলে
ভর্তি হওয়ার পরে বাঁশের বা কঞ্চির কলম কে ছুটি দেওয়া হয় কালি বানানাে বন্ধ হয়ে
যায় কাচের দোয়াতে এই কালি এই কালি বানানো হত কালি ট্যাবলেট বা বরি দিয়ে তৈরি
কালী পাওয়া যেত দোয়াতে। ফাউন্টেন পেনের জন্য ছিল বিদেশি কালী। রকমারির নিব ও
হ্যান্ডেল ইত্যাদি দিয়ে মুড়ে দেওয়া হতাে। এই পর্যায়ে দোয়াত কলম হয়ে গেল ঘর
সাজানাের আসবাব। একসময় লেখা শুকানে হত বালিতে, পড়ে ব্লটিং পেপার এ এইসব অতিথি
হয়ে গেল। লেখালেখি এভাবে এক অনুষ্ঠান হয়ে উঠেছিল প্রথম যুগে তার চেহারা ছিল এক
রকম পরবর্তীকালে সেই রূপের বদল ঘটে গেলো ।
৫. সব চূর্ণ হয়ে গেল, জ্বলে গেল আগুনে -কবিতা অনুসরণে পরিস্থিতিটির বিবরণ দাও।
উত্তর :-
বিপ্লবের পথ আসলে যুদ্ধের পথ। এ হলাে স্থিতাবস্থার বিরুদ্ধে যুদ্ধ, সমাজ পরিবর্তনের
জন্য যুদ্ধ। তাই সাম্রাজ্যবাদী হােক বা শােষক শক্তি প্রত্যাঘাত করে। প্রবল লড়াইয়ে
ভেঙে পড়ে সেই সুন্দর বাড়ি, যেখানে কবিতার বিপ্লবী মানুষটি
একদিন থাকতেন, সেই বারান্দা যেখানে তিনি ঝুলন্ত বিছানায় ঘুমাতেন, কিংবা গোলাপি
গাছ, চিমনি, প্রাচীন জল তরঙ্গ ইত্যাদি। যুদ্ধের তাণ্ডবের অনিবার্য তা সব কিছুই ভেঙে
পড়ে, চূর্ণ হয়ে যায়।
৬. অনুক্ত কর্তা- বলতে কী বােঝ ?
উত্তর :-
কর্মবাচ্য ও ভাববাচ্যের কর্তা প্রধান রূপে উক্ত হয় না বলে , সেই কর্তা কে অনুক্ত
কর্তা বলে ।
৭. অ-কারক পদ কয় প্রকার ও কী কী ?
উত্তর :-দুই প্রকার । যথা :- (i) সম্বন্ধ পদ , (ii) সম্বোধন পদ ।
৮. তির্যক বিভক্তি কাকে বলা হয় ?
উত্তর :-
যে বিভক্তি চিহ্ন একাধিক কারকে ব্যবহৃত হয় তাকে তির্যক বিভক্তি বলে ।

