আজকে আমরা আলোচনা করব সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস এর মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এর সমস্ত প্রশ্ন এবং উত্তর নিয়ে পার্ট 2
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখাে :
(১) শশাঙ্ক বৌদ্ধবিদ্বেষী ছিলেন—এই উক্তিটা ঠিক না ভুল? তােমার উত্তরের সপক্ষে দুটি অথবা তিনটি বাক্য লেখাে।
উত্তর :-
শশাঙ্ক ধর্মীয় বিশ্বাসে ছিলেন শৈব বাশিবের উপাসক । আর্য মঞ্জু শ্রীমূলকর নামক বৌদ্ধ গ্রন্থে এবং সুয়ান জাং-এর ভ্রমণ বিবরণীতে তাকে বৌদ্ধবিদ্বেষী বলা হয়েছে। শশাঙ্কের বিরুদ্ধে অভিযােগ করা হয় যে তিনি বৌদ্ধ ভিক্ষুকদের হত্যা করেছিলেন এবং বৌদ্ধদের পবিত্র ধর্মীয় স্মারক ধ্বংস করেছিলেন। হর্ষবর্ধনের সভাকবি বাণভট্টের রচিত হর্ষচরিত-এ শশাঙ্ককে নিন্দা করা হয়েছে।
অন্যদিকে শশাঙ্কের শাসনকালের কয়েক বছর পরে সুয়ান জাং কর্ণসুবর্ণ নগরের উপকণ্ঠে রক্তমৃত্তিকা বৌদ্ধ বিহারের সমৃদ্ধি লক্ষ করেছিলেন। শশাঙ্কের মৃত্যুর পঞ্চাশ বছর পর চিনা পর্যটক ই-সি-এর নজরে পড়েছিল বাংলায় বৌদ্ধ ধর্মের উন্নতি। শশাঙ্ক নির্বিচারে বৌদ্ধ বিদ্বেষী হলে তা হতে না। বলা যায় যে, শশাঙ্কের প্রতি সব লেখকরা পুরােপুরি বিদ্বেষমুক্ত ছিলেন না। সুতরাং, শশাঙ্ক সম্পর্কে তাদের মতামত কিছুটা অতিরঞ্জিত ছিল বলে মনে করা যেতে পারে।
(২) সুলতান মামুদের ১৭ বার ভারত আক্রমণের পিছনে প্রকৃত কারণ কী ছিল বলে তােমার মনে হয় ? (৭०/৮০টি শব্দে লেখ)
উত্তর :-
গজনির মাহমুদের প্রধাম উদ্দেশ্য ছিল মন্দিরগুলি থেকে ধনসম্পদ লুন্ঠন করে খোরাসান এবং মধু এশিয়ায় তার সাম্রাজ্যে তা ব্যয় করা। আনুমানিক ১০০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১০২৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত মাহমুদ প্রায় সতেরােবার উত্তর ভারত আক্রমণ করেন।
সুলতান মাহমুদ ভারতের ইতিহাসে একজন আক্রমণকারী হিসাবে চিহ্নিত হয়ে আছেন। কিন্তু তিনি শুধুই একজন যোদ্ধা ছিলেন না। ভারত থেকে তিনি যেমন প্রচুর সম্পদ লুঠ করেছেন, তেমনি নিজের রাজ্যে ভালো কাজে ব্যয় করেছেন। তার আমলে রাজধানী গজনী এবং অন্যান্য শহরকে সুন্দর করে সাজানো হয়েছিল । মাহমুদ সেখানে প্রাসাদ মসজিদ গ্রন্থাগার বাগিচা জলাধার খাল এবং আমু দরিয়ার নদী বাঁধ নির্মাণ করেন । তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরি করেন সেখানে শিক্ষকদের বেতন এবং ছাত্রদের বৃত্তি দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল ।
(৩) নীচের শব্দগুলির জন্য দুটি করে বাক্য লেখা :
উত্তর :-
মাৎস্যন্যায় বলতে দেশে অরাজকতা বা স্থায়ী রাজার অভাবকে বোঝানো হয় । পুকুরের বড় মাছ যেমন ছোট মাছকে খেয়ে ফেলে , অরাজকতার সময়ে তেমনি শক্তিশালী লোক দুর্বল লোকের ওপর অত্যাচার করে ।
(খ) ব্রহ়্দেয় :
উত্তর :-
কৃষি জমির পরিমাণ বাড়ানোর জন্য ব্রাহ্মণদের অনেক সময় জমি দান করা হতো । ব্রাহ্মণদের কিছু জমি দেওয়া হতো , যার কর নেওয়া হতো না । এই জমিদারের ব্যবস্থাকে ব্রহ়্দেয় বলে ।
(গ) খিলাফত :
উত্তর:-
মহম্মদের পর ইসলাম জগতের নেতৃত্ব কে দেবেন তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তখন মহম্মদের প্রধান চার সঙ্গীরা একে একে মুসলমানদের নেতা নির্বাচিত হন। এদের বলা হয় খলিফা। খলিফা শব্দটা আরবি। তার মানে প্রতিনিধি বা উত্তরাধিকারী। প্রথম খলিফা ছিলেন আবু বকর।

নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখাে :
(১) শশাঙ্ক বৌদ্ধবিদ্বেষী ছিলেন—এই উক্তিটা ঠিক না ভুল? তােমার উত্তরের সপক্ষে দুটি অথবা তিনটি বাক্য লেখাে।
উত্তর :-
শশাঙ্ক ধর্মীয় বিশ্বাসে ছিলেন শৈব বাশিবের উপাসক । আর্য মঞ্জু শ্রীমূলকর নামক বৌদ্ধ গ্রন্থে এবং সুয়ান জাং-এর ভ্রমণ বিবরণীতে তাকে বৌদ্ধবিদ্বেষী বলা হয়েছে। শশাঙ্কের বিরুদ্ধে অভিযােগ করা হয় যে তিনি বৌদ্ধ ভিক্ষুকদের হত্যা করেছিলেন এবং বৌদ্ধদের পবিত্র ধর্মীয় স্মারক ধ্বংস করেছিলেন। হর্ষবর্ধনের সভাকবি বাণভট্টের রচিত হর্ষচরিত-এ শশাঙ্ককে নিন্দা করা হয়েছে।
অন্যদিকে শশাঙ্কের শাসনকালের কয়েক বছর পরে সুয়ান জাং কর্ণসুবর্ণ নগরের উপকণ্ঠে রক্তমৃত্তিকা বৌদ্ধ বিহারের সমৃদ্ধি লক্ষ করেছিলেন। শশাঙ্কের মৃত্যুর পঞ্চাশ বছর পর চিনা পর্যটক ই-সি-এর নজরে পড়েছিল বাংলায় বৌদ্ধ ধর্মের উন্নতি। শশাঙ্ক নির্বিচারে বৌদ্ধ বিদ্বেষী হলে তা হতে না। বলা যায় যে, শশাঙ্কের প্রতি সব লেখকরা পুরােপুরি বিদ্বেষমুক্ত ছিলেন না। সুতরাং, শশাঙ্ক সম্পর্কে তাদের মতামত কিছুটা অতিরঞ্জিত ছিল বলে মনে করা যেতে পারে।
(২) সুলতান মামুদের ১৭ বার ভারত আক্রমণের পিছনে প্রকৃত কারণ কী ছিল বলে তােমার মনে হয় ? (৭०/৮০টি শব্দে লেখ)
উত্তর :-
গজনির মাহমুদের প্রধাম উদ্দেশ্য ছিল মন্দিরগুলি থেকে ধনসম্পদ লুন্ঠন করে খোরাসান এবং মধু এশিয়ায় তার সাম্রাজ্যে তা ব্যয় করা। আনুমানিক ১০০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১০২৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত মাহমুদ প্রায় সতেরােবার উত্তর ভারত আক্রমণ করেন।
সুলতান মাহমুদ ভারতের ইতিহাসে একজন আক্রমণকারী হিসাবে চিহ্নিত হয়ে আছেন। কিন্তু তিনি শুধুই একজন যোদ্ধা ছিলেন না। ভারত থেকে তিনি যেমন প্রচুর সম্পদ লুঠ করেছেন, তেমনি নিজের রাজ্যে ভালো কাজে ব্যয় করেছেন। তার আমলে রাজধানী গজনী এবং অন্যান্য শহরকে সুন্দর করে সাজানো হয়েছিল । মাহমুদ সেখানে প্রাসাদ মসজিদ গ্রন্থাগার বাগিচা জলাধার খাল এবং আমু দরিয়ার নদী বাঁধ নির্মাণ করেন । তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরি করেন সেখানে শিক্ষকদের বেতন এবং ছাত্রদের বৃত্তি দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল ।
(৩) নীচের শব্দগুলির জন্য দুটি করে বাক্য লেখা :
(ক) মাৎস্যন্যায় ?
উত্তর :-
মাৎস্যন্যায় বলতে দেশে অরাজকতা বা স্থায়ী রাজার অভাবকে বোঝানো হয় । পুকুরের বড় মাছ যেমন ছোট মাছকে খেয়ে ফেলে , অরাজকতার সময়ে তেমনি শক্তিশালী লোক দুর্বল লোকের ওপর অত্যাচার করে ।
(খ) ব্রহ়্দেয় :
উত্তর :-
কৃষি জমির পরিমাণ বাড়ানোর জন্য ব্রাহ্মণদের অনেক সময় জমি দান করা হতো । ব্রাহ্মণদের কিছু জমি দেওয়া হতো , যার কর নেওয়া হতো না । এই জমিদারের ব্যবস্থাকে ব্রহ়্দেয় বলে ।
(গ) খিলাফত :
উত্তর:-
মহম্মদের পর ইসলাম জগতের নেতৃত্ব কে দেবেন তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তখন মহম্মদের প্রধান চার সঙ্গীরা একে একে মুসলমানদের নেতা নির্বাচিত হন। এদের বলা হয় খলিফা। খলিফা শব্দটা আরবি। তার মানে প্রতিনিধি বা উত্তরাধিকারী। প্রথম খলিফা ছিলেন আবু বকর।
