দশম শ্রেণির ভূগোল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অধ্যায়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর ।
1. একটি চিকিৎসা সংক্রান্ত বর্জ্য হল -
a)সবজির খোসা
b) সাবান জল
c) খাবারের প্যাকেট
d) ইনজেকশন সিরিঞ্জ ।
উত্তর - ইনজেকশন সিরিঞ্জ
2. তেজস্ক্রিয় বর্জ্যের মূল উৎস -
a)কয়লা
b)চা শিল্প
c)পারমাণবিক শিল্প
d)কাগজ শিল্প
উত্তর - পারমাণবিক শিল্প
3. গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান পরিকল্পনা টি গৃহীত হয় -
a)1986 সালে
b)1984 সালে
c)1987 সালে
d)1989 সালে
উত্তর - 1986 সালে
4. ব্ল্যাক ফুট রোগের সৃষ্টি হয় -
a)তেজস্ক্রিয় বর্জ্য দ্বারা
b)পৌর বর্জ্য দ্বারা
c)শিল্পজাত বর্জ্য দ্বারা
d)গ্যাসীয় বর্জ্য
উত্তর -শিল্পজাত বর্জ্য দ্বারা
5. অকেজো মোবাইল একটি -
a)বিষাক্ত বর্জ্য
b)রাসায়নিক বর্জ্য
c)ই - বর্জ্য
d)কোনোটিই নয়
উত্তর - ই - বর্জ্য
6. পলিথিন একটি -
a)গ্যাসীয়
b)তরল
c)জীব বিশ্লেষ্য
d)কঠিন বর্জ্য
উত্তর - কঠিন বর্জ্য
7. স্বচ্ছ ভারত অভিযান শুরু হয় 2 অক্টোবর -
a)2012
b)2013
c)2014
d)2015
উত্তর - 2014
8. মিনামাটা রোগ হয় -
a)কৃষি
b)শিল্প
c)গৃহ স্থলির
d)পৌর বর্জ্য থেকে
উত্তর - শিল্প
9. গ্যাসীয় বর্জ্য পদার্থের প্রধান উৎস -
a)গৃহস্থালি
b)যানবাহন
c)হাসপাতাল
d)কৃষি ক্ষেত্র
উত্তর - যানবাহন
10. কাগজ হল একটি -
a)কৃষিজ
b)পুন: চক্রি
c)বিষাক্ত
d)তরল বর্জ্য
উত্তর - পুন: চক্রি
c) খাবারের প্যাকেট
d) ইনজেকশন সিরিঞ্জ ।
উত্তর - ইনজেকশন সিরিঞ্জ
2. তেজস্ক্রিয় বর্জ্যের মূল উৎস -
a)কয়লা
b)চা শিল্প
c)পারমাণবিক শিল্প
d)কাগজ শিল্প
উত্তর - পারমাণবিক শিল্প
3. গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান পরিকল্পনা টি গৃহীত হয় -
a)1986 সালে
b)1984 সালে
c)1987 সালে
d)1989 সালে
উত্তর - 1986 সালে
4. ব্ল্যাক ফুট রোগের সৃষ্টি হয় -
a)তেজস্ক্রিয় বর্জ্য দ্বারা
b)পৌর বর্জ্য দ্বারা
c)শিল্পজাত বর্জ্য দ্বারা
d)গ্যাসীয় বর্জ্য
উত্তর -শিল্পজাত বর্জ্য দ্বারা
5. অকেজো মোবাইল একটি -
a)বিষাক্ত বর্জ্য
b)রাসায়নিক বর্জ্য
c)ই - বর্জ্য
d)কোনোটিই নয়
উত্তর - ই - বর্জ্য
6. পলিথিন একটি -
a)গ্যাসীয়
b)তরল
c)জীব বিশ্লেষ্য
d)কঠিন বর্জ্য
উত্তর - কঠিন বর্জ্য
7. স্বচ্ছ ভারত অভিযান শুরু হয় 2 অক্টোবর -
a)2012
b)2013
c)2014
d)2015
উত্তর - 2014
8. মিনামাটা রোগ হয় -
a)কৃষি
b)শিল্প
c)গৃহ স্থলির
d)পৌর বর্জ্য থেকে
উত্তর - শিল্প
9. গ্যাসীয় বর্জ্য পদার্থের প্রধান উৎস -
a)গৃহস্থালি
b)যানবাহন
c)হাসপাতাল
d)কৃষি ক্ষেত্র
উত্তর - যানবাহন
10. কাগজ হল একটি -
a)কৃষিজ
b)পুন: চক্রি
c)বিষাক্ত
d)তরল বর্জ্য
উত্তর - পুন: চক্রি
দু - এক কথায় উত্তর দাও ।
1. প্লাস্টিক কোন ধরনের বর্জ্য ?
উত্তর - জৈব অভঙ্গুর / জীব অবিশ্লেষ্য
2. দুটি কঠিন বর্জ্যের উদাহরণ দাও।
উত্তর - প্লাস্টিক ফলের খোসা
3. ব্রংকাইটিস কোন বর্জ্যের কারণে হয় ?
উত্তর - গ্যাসীয়
4.কোন্ ধরনের বর্জ্যের স্পর্শে অন্য পদার্থের ক্ষয় হয় ?
উত্তর - রাসায়নিক বর্জ্য
5.কঠিন বর্জ্যের অক্সিজেনবিহীন দহনকে কী বলে?
উত্তর - পাইরোলাইসিস
6.তােমার শ্রেণিকক্ষের একটি বর্জ্য পদার্থের উদাহরণ দাও ।
উত্তর - ছেড়া বই খাতা
7. কোন ধাতুর প্রভাবে ব্ল্যাকফুট রােগ হয়?
উত্তর - আর্সেনিক
8. কলকাতা পৌরসভার অধিকাংশ বর্জ্য কোথায় ফেলা হয়?
উত্তর - ধাপায়
9. চিকিৎসা সংক্রান্ত বর্জ্য কোন যন্ত্রের সাহায্যে বিশ্লিষ্ট করা হয়?
উত্তর - ইনসিনারেটর
10. দুটি সংক্রামক বর্জ্যের নাম লেখাে।
উত্তর - রক্ত পুজমাখা তুলো, ইনজেকশনের সিরিঞ্জ
11. দু-ধরনের তরল বর্জ্যের নাম লেখো।
উত্তর - ডিটারজেন্ট মিশ্রিত জল , মোবিল ।
12. একটি জৈব অভঙ্গর কীটনাশকের নাম লেখাে।
উত্তর - ডিডিটি
13.কতগুলি পরিবেশমিত্র বর্জ্যের উদাহরণ দাও।
উত্তর - শাক সবজির খোসা , পচা ফুল ।
14. গৃহস্থালির তরল বর্জ্যের উদাহরণ দাও।
উত্তর - মাছ , মাংস ধোয়া জল , বাথরুমের জল
15. কম্পােস্টিং পদ্ধতিতে কীসের দ্বারা জৈব পদার্থের পচন ঘটানাে হয়?
উত্তর - ব্যাকটেরিয়া দ্বারা
16. দুটি অদাহ্য রাবিশ বা জঞ্জালের নাম লেখো ।
উত্তর - কাচ, সিরামিক
17. স্কাবার পদ্ধতির ধরন গুলি কি কি
উত্তর - শুষ্ক ও আর্দ্র স্কাবার ।
1. প্লাস্টিক কোন ধরনের বর্জ্য ?
উত্তর - জৈব অভঙ্গুর / জীব অবিশ্লেষ্য
2. দুটি কঠিন বর্জ্যের উদাহরণ দাও।
উত্তর - প্লাস্টিক ফলের খোসা
3. ব্রংকাইটিস কোন বর্জ্যের কারণে হয় ?
উত্তর - গ্যাসীয়
4.কোন্ ধরনের বর্জ্যের স্পর্শে অন্য পদার্থের ক্ষয় হয় ?
উত্তর - রাসায়নিক বর্জ্য
5.কঠিন বর্জ্যের অক্সিজেনবিহীন দহনকে কী বলে?
উত্তর - পাইরোলাইসিস
6.তােমার শ্রেণিকক্ষের একটি বর্জ্য পদার্থের উদাহরণ দাও ।
উত্তর - ছেড়া বই খাতা
7. কোন ধাতুর প্রভাবে ব্ল্যাকফুট রােগ হয়?
উত্তর - আর্সেনিক
8. কলকাতা পৌরসভার অধিকাংশ বর্জ্য কোথায় ফেলা হয়?
উত্তর - ধাপায়
9. চিকিৎসা সংক্রান্ত বর্জ্য কোন যন্ত্রের সাহায্যে বিশ্লিষ্ট করা হয়?
উত্তর - ইনসিনারেটর
10. দুটি সংক্রামক বর্জ্যের নাম লেখাে।
উত্তর - রক্ত পুজমাখা তুলো, ইনজেকশনের সিরিঞ্জ
11. দু-ধরনের তরল বর্জ্যের নাম লেখো।
উত্তর - ডিটারজেন্ট মিশ্রিত জল , মোবিল ।
12. একটি জৈব অভঙ্গর কীটনাশকের নাম লেখাে।
উত্তর - ডিডিটি
13.কতগুলি পরিবেশমিত্র বর্জ্যের উদাহরণ দাও।
উত্তর - শাক সবজির খোসা , পচা ফুল ।
14. গৃহস্থালির তরল বর্জ্যের উদাহরণ দাও।
উত্তর - মাছ , মাংস ধোয়া জল , বাথরুমের জল
15. কম্পােস্টিং পদ্ধতিতে কীসের দ্বারা জৈব পদার্থের পচন ঘটানাে হয়?
উত্তর - ব্যাকটেরিয়া দ্বারা
16. দুটি অদাহ্য রাবিশ বা জঞ্জালের নাম লেখো ।
উত্তর - কাচ, সিরামিক
17. স্কাবার পদ্ধতির ধরন গুলি কি কি
উত্তর - শুষ্ক ও আর্দ্র স্কাবার ।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
1. বর্জ্য পদার্থ কাকে বলে ?
উত্তর - ব্যবহারের পর যে সকল অপ্রয়োজনীয়' পদার্থ পরিবেশে বর্জিত হয় যেগুলির প্রাথমিকভাবে উৎপাদক বা ভোক্তার কাছে কোন উপযোগিতা থাকেনা সেইসব অবাঞ্চিত পদার্থকে বর্জ্য পদার্থ বলে । বর্জ্য পদার্থ কঠিন তরল গ্যাসীয় তেজস্ক্রিয় বিষাক্ত বিষহীন প্রভৃতি নানা ধরনের হয়ে থাকে । যেমন - ভাঙ্গা ধাতব পদার্থ প্লাস্টিক কাগজ পোড়া মবিল সালফার ডাই অক্সাইড প্লুটোনিয়াম - 239 প্রভৃতি ।
2. জৈব বর্জ্য কাকে বলে ?
উত্তর - সাধারণ জীবজগৎ থেকে উৎপন্ন যেসব বর্জ্য পরিবেশে নিক্ষিপ্ত হয় তাকে জৈব বর্জ্য বলে ।
3. ব্যাগাসি কি ?
উত্তর - চিনি শিল্পের বর্জ্য বিশেষত আখের ছিবড়েকেই ব্যাগাসি বলা হয় । এর থেকে কাগজ শিল্পে কাগজের মন্ড প্রস্তুত হয়। এ ছাড়া ব্যাগসী দহনের ফলে শক্তি উৎপন্ন হয় । একটি চিনি শিল্প কারখনার ব্যাগাসী থেকে প্রায় 10 মেগাওয়াট শক্তি পাওয়া যায় । ব্রাজিলে এই শক্তির ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ করা যায় ।
1. বর্জ্য পদার্থ কাকে বলে ?
উত্তর - ব্যবহারের পর যে সকল অপ্রয়োজনীয়' পদার্থ পরিবেশে বর্জিত হয় যেগুলির প্রাথমিকভাবে উৎপাদক বা ভোক্তার কাছে কোন উপযোগিতা থাকেনা সেইসব অবাঞ্চিত পদার্থকে বর্জ্য পদার্থ বলে । বর্জ্য পদার্থ কঠিন তরল গ্যাসীয় তেজস্ক্রিয় বিষাক্ত বিষহীন প্রভৃতি নানা ধরনের হয়ে থাকে । যেমন - ভাঙ্গা ধাতব পদার্থ প্লাস্টিক কাগজ পোড়া মবিল সালফার ডাই অক্সাইড প্লুটোনিয়াম - 239 প্রভৃতি ।
2. জৈব বর্জ্য কাকে বলে ?
উত্তর - সাধারণ জীবজগৎ থেকে উৎপন্ন যেসব বর্জ্য পরিবেশে নিক্ষিপ্ত হয় তাকে জৈব বর্জ্য বলে ।
3. ব্যাগাসি কি ?
উত্তর - চিনি শিল্পের বর্জ্য বিশেষত আখের ছিবড়েকেই ব্যাগাসি বলা হয় । এর থেকে কাগজ শিল্পে কাগজের মন্ড প্রস্তুত হয়। এ ছাড়া ব্যাগসী দহনের ফলে শক্তি উৎপন্ন হয় । একটি চিনি শিল্প কারখনার ব্যাগাসী থেকে প্রায় 10 মেগাওয়াট শক্তি পাওয়া যায় । ব্রাজিলে এই শক্তির ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ করা যায় ।
4. লিচেট কাকে বলে ?
উত্তর - সংজ্ঞা : ল্যান্ডফিল বা ভরাট করন করা বর্জ্য পদার্থ বৃষ্টির জলে ধুয়ে গেলে সেই বর্জ্য ধোয়া ময়লা জলকে লিচেট বলে ।
ক্ষতিকর প্রভাব : লিচেট খুব বিষাক্ত প্রকৃতির হয় । এর দ্বারা যেমন মৃত্তিকার দূষণ ঘটে তেমনি জলাশইয়ের জল ও ভৌম জল দূষিত হয়ে পড়ে ।
5. বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় 3R কথাটির অর্থ কি ?
উত্তর - বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় 3R কথাটির অর্থ হলো - ১) Reduce বা বর্জ্য এর পরিমাণ কমে অর্থাৎ বর্জ্য এর উৎপাদন ও ভোগের পরিমাণ কমানো । ২) Reuse বা পূর্ণ ব্যবহার অর্থাৎ বর্জ্য কে ব্যবহারের পর পরিবর্তিত রূপে পুনরায় ব্যবহার করা । ৩) Recycle বা পুনর্নবীকরণ অর্থাৎ বর্জ্য কে পুনরায় রূপান্তরের মাধ্যমে ব্যবহারযোগ্য করা ।
উত্তর - সংজ্ঞা : ল্যান্ডফিল বা ভরাট করন করা বর্জ্য পদার্থ বৃষ্টির জলে ধুয়ে গেলে সেই বর্জ্য ধোয়া ময়লা জলকে লিচেট বলে ।
ক্ষতিকর প্রভাব : লিচেট খুব বিষাক্ত প্রকৃতির হয় । এর দ্বারা যেমন মৃত্তিকার দূষণ ঘটে তেমনি জলাশইয়ের জল ও ভৌম জল দূষিত হয়ে পড়ে ।
5. বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় 3R কথাটির অর্থ কি ?
উত্তর - বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় 3R কথাটির অর্থ হলো - ১) Reduce বা বর্জ্য এর পরিমাণ কমে অর্থাৎ বর্জ্য এর উৎপাদন ও ভোগের পরিমাণ কমানো । ২) Reuse বা পূর্ণ ব্যবহার অর্থাৎ বর্জ্য কে ব্যবহারের পর পরিবর্তিত রূপে পুনরায় ব্যবহার করা । ৩) Recycle বা পুনর্নবীকরণ অর্থাৎ বর্জ্য কে পুনরায় রূপান্তরের মাধ্যমে ব্যবহারযোগ্য করা ।
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা মূলক প্রশ্ন উত্তর
1. বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীর ভূমিকা আলোচনা করো ।
উত্তর - বর্জ্য পদার্থ পরিবেশ দূষণ তথা অবনমন এর অন্যতম কারণ । বিদ্যালয়ের পরিবেশ বাড়ির পরিবেশ তথা সামগ্রিক পরিবেশ বর্জ্য পদার্থ দ্বারা কিভাবে দূষিত হচ্ছে এবং এই দূষণ কিভাবে রোধ করা যায় সে সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা শিক্ষার্থীদের অন্যতম কর্তব্য । জ্ঞান লাভের পাশাপাশি বর্জ্য পদার্থের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ একান্ত প্রয়োজন ।
বর্জ্য পদার্থ ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীদের ভূমিকা নিম্নলিখিত :
১) কম বজ্য উৎপাদন : পরিবেশে বর্জ্য পদার্থের পরিমাণ।কমানাের জন্য শিক্ষার্থীদের উচিত (i) পরিবেশের ক্ষতি করে এমন। দ্রব্যসামগ্রীর ব্যবহার বন্ধ করা। যেমন- প্লাস্টিক। (ii) Use and Throw দ্রব্যের ব্যবহার কমানাে। যেমন - পেন। (iii) জৈব ভঙ্গুর। দ্রব্যের ব্যবহার বৃদ্ধি। যেমন - চটের ব্যাগ ব্যবহার করা প্রভৃতি।
২) বর্জ্য পৃথকীকরণ : বাড়ির তথা বিদ্যালয়ের জীব বিশ্লেষ্য ও জীব অবিশ্লেষ্য বর্জ্য পদার্থগুলিকে চিনে নিয়ে সেগুলিকে আলাদা আলাদা ভাবে সংগ্রহ ও অপসারণ করা শিক্ষার্থীদের অন্যতম কর্তব্য।
৩) উপযুক্ত স্থানে বর্জ্য সংগ্রহ : বিদ্যালয়ে, বাড়িতে বা আশেপাশের পরিবেশে, যত্রতত্র খাবারের পাকেট, কাগজ, পেন প্রভৃতি নানধরনের বর্জ্য পদার্থগুলি না ফেলে নির্দিষ্ট জায়গায়, যেমন- ডাস্টবিনে, ময়লার সংগ্রহের গাড়িতে ফেলা আবশ্যক। এক্ষেত্রে ডাস্টবিনের অভাবে শিক্ষার্থীদের কার্ডবাের্ড দিয়ে 'Waste Box' তৈরি করা উচিত।
৪)বর্জ্য এর উপযোগিতা বৃদ্ধি : বিদ্যালয় জীবন থেকেই। বর্জ্য এর উপযােগিতা বৃদ্ধি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা এবং বাস্তব জীবনে। তা প্রয়ােগ করা শিক্ষার্থীদের অন্যতম কর্তব্য। যেমন - বিভিন্ন বাতিল দ্রব্য দিয়ে পুতুল খেলনা তৈরি
৫) কম্পোস্ট সার তৈরি : বাড়িতে সবজির খােসা, খাবারের উচ্ছিষ্ট, বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের উচ্ছিষ্ট নির্দিষ্ট স্থানে সংগ্রহ করলে তা কিছুদিন পরে পচে কম্পােস্ট সারে পরিণত হবে। এই সার গাছের বৃদ্ধিতে অত্যন্ত উপযােগী।
৬) জনসচেতনতা বৃদ্ধি ; বর্জ্য পদার্থ সঠিক স্থানে ফেলা বর্জ্য পদার্থের পরিমাণ হ্রাস, বর্জ্য পদার্থের পুনর্ব্যবহার, বর্জ্য পদার্থ থেকে সার তৈরি, বায়ােগ্যাসের উপযােগিতা প্রভৃতি সম্পর্কে পােস্টার, প্ল্যাকার্ড তৈরি করে বিদ্যালয়ে, বিদ্যালয়ের আশপাশে, বাড়ির আশপাশে লাগাতে হবে। এছাড়া পথনাটিকা, সেমিনার, আলােচনা সভা প্রভৃতির ব্যবস্থা করতে হবে।
সর্বোপরি, ছাত্রজীবন থেকেই যদি আমরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্পর্কে সচেতন হতে পারি তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ নাগরিক জীবন বর্জ্য পদার্থের কুপ্রভাব মুক্ত হবে, আশা করা যায়।
2. তুমি তোমার গৃহের বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা কিভাবে করবে ?
উত্তর - গৃহের বর্জ্যের ব্যবস্থাপনার জন্য নানা পন্থা অবলম্বন করা যেতে পারে । যার দ্বারা গৃহের পরিবেশকে স্বাস্থ্যসম্মত করে তোলা সম্ভব । এগুলি হল -
১) বর্জ্যের পরিমাণ কমানাে ; অকারণে যাতে বাড়িতে বর্জ্য উৎপাদন না হয় সেদিকে নজর দেওয়া অত্যন্ত জরুরি ।
২) বর্জ্যের পুনর্ব্যবহার : বাড়ির অনেক বাতিল দ্রব্যকে পুনরায় ব্যবহারের মাধ্যমে বর্জ্যের পরিমাণ কমানাে যায়। যেমন- অব্যবহৃত জলের বােতলকে বাগানে জল দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা, অব্যবহৃত জামা-কাপড়কে অনেক সময় পাপােস তৈরির কাজে লাগানাে যায় ইত্যাদি।
৩) বর্জ্যের পুনর্নবীকরণ : গৃহস্থালির অনেক বর্জ্যের পুনর্নবীকরণ ঘটানাে যায়। এতে বর্জ্যের পরিমাণ কমে, গৃহের পরিবেশ সুস্থ থাকে। যেমন- সবজির খােসা, খাবারের অবশিষ্টাংশ, বাসি - ফুল, গৃহপালিত পশুর বিষ্ঠা, কৃষিজাত জৈব ভঙ্গুর বর্জ্য সমূহ থেকে কম্পােস্টিং পদ্ধতিতে জৈব সার তৈরি করে চা চাষের কাজে ব্যবহার করা যায়।
৪) জীব অবিশ্লেষ্য বর্জ্যের পরিমাণ কমানাে :
প্লাস্টিক-পলিথিনের পরিবর্তে কাপড়ের ব্যাগ, চটের থলে, কাগজের ঠোঙা প্রভৃতি ব্যবহারের মাধ্যমে বাড়িতে জীব অবিশ্লেষ্য বর্জ্যের পরিমাণ কমানাে সম্ভব।
৫) তরল বর্জ্যের পরিমাণ কমানাে : স্নানঘরের ব্যবহৃত জল, বাসন ধােয়া জল, জামাকাপড় কাচা জল ইত্যাদি হল গৃহস্থালির তরল বর্জ্য। এগুলি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা যাতে তরল বর্জ্য কম উৎপন্ন হয়। যেমন - কাপড় কাচার জন্য তরল ডিটারজেন্ট ব্যবহার করলে জলের অপচয় কম হয়।
৬) গ্যাসীয় বর্জ্যের পরিমাণ কমানাে : রান্নাঘরের ধোঁয়া, উনুনের ধোঁয়া হল গৃহস্থালির গ্যাসীয় বর্জ্য। এগুলির উৎপাদন যাতে কম হয় তার জন্য কাঠকয়লার পরিবর্তে রান্নার ক্ষেত্রে গ্যাসের ব্যবহার, রান্নাঘরে উন্নত প্রযুক্তিতে তৈরি চিমনি ব্যবহার করা যেতে পারে।
1. বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীর ভূমিকা আলোচনা করো ।
উত্তর - বর্জ্য পদার্থ পরিবেশ দূষণ তথা অবনমন এর অন্যতম কারণ । বিদ্যালয়ের পরিবেশ বাড়ির পরিবেশ তথা সামগ্রিক পরিবেশ বর্জ্য পদার্থ দ্বারা কিভাবে দূষিত হচ্ছে এবং এই দূষণ কিভাবে রোধ করা যায় সে সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা শিক্ষার্থীদের অন্যতম কর্তব্য । জ্ঞান লাভের পাশাপাশি বর্জ্য পদার্থের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ একান্ত প্রয়োজন ।
বর্জ্য পদার্থ ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীদের ভূমিকা নিম্নলিখিত :
১) কম বজ্য উৎপাদন : পরিবেশে বর্জ্য পদার্থের পরিমাণ।কমানাের জন্য শিক্ষার্থীদের উচিত (i) পরিবেশের ক্ষতি করে এমন। দ্রব্যসামগ্রীর ব্যবহার বন্ধ করা। যেমন- প্লাস্টিক। (ii) Use and Throw দ্রব্যের ব্যবহার কমানাে। যেমন - পেন। (iii) জৈব ভঙ্গুর। দ্রব্যের ব্যবহার বৃদ্ধি। যেমন - চটের ব্যাগ ব্যবহার করা প্রভৃতি।
২) বর্জ্য পৃথকীকরণ : বাড়ির তথা বিদ্যালয়ের জীব বিশ্লেষ্য ও জীব অবিশ্লেষ্য বর্জ্য পদার্থগুলিকে চিনে নিয়ে সেগুলিকে আলাদা আলাদা ভাবে সংগ্রহ ও অপসারণ করা শিক্ষার্থীদের অন্যতম কর্তব্য।
৩) উপযুক্ত স্থানে বর্জ্য সংগ্রহ : বিদ্যালয়ে, বাড়িতে বা আশেপাশের পরিবেশে, যত্রতত্র খাবারের পাকেট, কাগজ, পেন প্রভৃতি নানধরনের বর্জ্য পদার্থগুলি না ফেলে নির্দিষ্ট জায়গায়, যেমন- ডাস্টবিনে, ময়লার সংগ্রহের গাড়িতে ফেলা আবশ্যক। এক্ষেত্রে ডাস্টবিনের অভাবে শিক্ষার্থীদের কার্ডবাের্ড দিয়ে 'Waste Box' তৈরি করা উচিত।
৪)বর্জ্য এর উপযোগিতা বৃদ্ধি : বিদ্যালয় জীবন থেকেই। বর্জ্য এর উপযােগিতা বৃদ্ধি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা এবং বাস্তব জীবনে। তা প্রয়ােগ করা শিক্ষার্থীদের অন্যতম কর্তব্য। যেমন - বিভিন্ন বাতিল দ্রব্য দিয়ে পুতুল খেলনা তৈরি
৫) কম্পোস্ট সার তৈরি : বাড়িতে সবজির খােসা, খাবারের উচ্ছিষ্ট, বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের উচ্ছিষ্ট নির্দিষ্ট স্থানে সংগ্রহ করলে তা কিছুদিন পরে পচে কম্পােস্ট সারে পরিণত হবে। এই সার গাছের বৃদ্ধিতে অত্যন্ত উপযােগী।
৬) জনসচেতনতা বৃদ্ধি ; বর্জ্য পদার্থ সঠিক স্থানে ফেলা বর্জ্য পদার্থের পরিমাণ হ্রাস, বর্জ্য পদার্থের পুনর্ব্যবহার, বর্জ্য পদার্থ থেকে সার তৈরি, বায়ােগ্যাসের উপযােগিতা প্রভৃতি সম্পর্কে পােস্টার, প্ল্যাকার্ড তৈরি করে বিদ্যালয়ে, বিদ্যালয়ের আশপাশে, বাড়ির আশপাশে লাগাতে হবে। এছাড়া পথনাটিকা, সেমিনার, আলােচনা সভা প্রভৃতির ব্যবস্থা করতে হবে।
সর্বোপরি, ছাত্রজীবন থেকেই যদি আমরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্পর্কে সচেতন হতে পারি তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ নাগরিক জীবন বর্জ্য পদার্থের কুপ্রভাব মুক্ত হবে, আশা করা যায়।
2. তুমি তোমার গৃহের বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা কিভাবে করবে ?
উত্তর - গৃহের বর্জ্যের ব্যবস্থাপনার জন্য নানা পন্থা অবলম্বন করা যেতে পারে । যার দ্বারা গৃহের পরিবেশকে স্বাস্থ্যসম্মত করে তোলা সম্ভব । এগুলি হল -
১) বর্জ্যের পরিমাণ কমানাে ; অকারণে যাতে বাড়িতে বর্জ্য উৎপাদন না হয় সেদিকে নজর দেওয়া অত্যন্ত জরুরি ।
২) বর্জ্যের পুনর্ব্যবহার : বাড়ির অনেক বাতিল দ্রব্যকে পুনরায় ব্যবহারের মাধ্যমে বর্জ্যের পরিমাণ কমানাে যায়। যেমন- অব্যবহৃত জলের বােতলকে বাগানে জল দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা, অব্যবহৃত জামা-কাপড়কে অনেক সময় পাপােস তৈরির কাজে লাগানাে যায় ইত্যাদি।
৩) বর্জ্যের পুনর্নবীকরণ : গৃহস্থালির অনেক বর্জ্যের পুনর্নবীকরণ ঘটানাে যায়। এতে বর্জ্যের পরিমাণ কমে, গৃহের পরিবেশ সুস্থ থাকে। যেমন- সবজির খােসা, খাবারের অবশিষ্টাংশ, বাসি - ফুল, গৃহপালিত পশুর বিষ্ঠা, কৃষিজাত জৈব ভঙ্গুর বর্জ্য সমূহ থেকে কম্পােস্টিং পদ্ধতিতে জৈব সার তৈরি করে চা চাষের কাজে ব্যবহার করা যায়।
৪) জীব অবিশ্লেষ্য বর্জ্যের পরিমাণ কমানাে :
প্লাস্টিক-পলিথিনের পরিবর্তে কাপড়ের ব্যাগ, চটের থলে, কাগজের ঠোঙা প্রভৃতি ব্যবহারের মাধ্যমে বাড়িতে জীব অবিশ্লেষ্য বর্জ্যের পরিমাণ কমানাে সম্ভব।
৫) তরল বর্জ্যের পরিমাণ কমানাে : স্নানঘরের ব্যবহৃত জল, বাসন ধােয়া জল, জামাকাপড় কাচা জল ইত্যাদি হল গৃহস্থালির তরল বর্জ্য। এগুলি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা যাতে তরল বর্জ্য কম উৎপন্ন হয়। যেমন - কাপড় কাচার জন্য তরল ডিটারজেন্ট ব্যবহার করলে জলের অপচয় কম হয়।
৬) গ্যাসীয় বর্জ্যের পরিমাণ কমানাে : রান্নাঘরের ধোঁয়া, উনুনের ধোঁয়া হল গৃহস্থালির গ্যাসীয় বর্জ্য। এগুলির উৎপাদন যাতে কম হয় তার জন্য কাঠকয়লার পরিবর্তে রান্নার ক্ষেত্রে গ্যাসের ব্যবহার, রান্নাঘরে উন্নত প্রযুক্তিতে তৈরি চিমনি ব্যবহার করা যেতে পারে।

