নবম শ্রেণীর ইতিহাস মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক 2021 এর পার্ট 6 এর প্রশ্ন এবং উত্তর নিয়ে আজকে আমরা আলোচনা করব চলো শুরু করা যাক ।
নবম শ্রেণীর ইতিহাস নতুন 2021 এর মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট 6 September Model Activity Task
১. 'ক' স্তম্ভের সাথে 'খ' স্তম্ভ মেলাও :
উত্তর -
| ক স্তম্ভ | ক স্তম্ভ |
|---|---|
| ১.১. ভার্সাই চুক্তি | (গ) ১৯১৯ খ্রি: |
| ১.২. মহামন্দা | (ঘ) ১৯২৯ খ্রি: |
| ১.৩. চোদ্দো দফা শর্ত | (খ) ১৯১৮ খ্রিঃ |
| ১.৪. স্পেনের গৃহযুদ্ধ | (ক) ১৯৩৬ খ্রি: |
২.১. রাশিয়ার পার্লামেন্ট ডুমা নামে পরিচিত।
উত্তর - সত্য
২.২. ভাইমার প্রজাতন্ত্র জার্মানিতে গড়ে ওঠা একটি অস্থায়ী সরকার যার কার্যকাল ছিল ১৯১৯-১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত।
উত্তর - মিথ্যা
২.৩. চোদ্দো দফা নীতি ঘোষণা করেন লেনিন।
উত্তর - মিথ্যা
২.৪. লিগ অব নেশনস গড়ে ওঠে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর।
উত্তর - মিথ্যা
৩. দুটি বা তিনটি বাক্যে উত্তর দাও :
৩.১. এমস টেলিগ্রাম কী?
উত্তর - ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে জুলাই মাসে, ফরাসি রাজদূত কাউন্ট বেনেদিতি এমস নামক স্থানে প্রাশিয়ার রাজা ফ্রেডরিক উইলিয়ামের সাথে সাক্ষাত করেন। তিনি স্পেনের সিংহাসনে লিওপোল্ডকে না-বসানো প্ৰতিশ্ৰুতি চান। রাজা এই সাক্ষাৎকারের বিষয়ে টেলিগ্রাম চান। রাজা এই সাক্ষাৎকারের বিষয়ে টেলিগ্রাম করে বিসমার্ককে জানান। বিসমার্ক টেলিগ্রামের কিছু অংশ বিকৃত করেন এবং এমনভাবে এই টেলিগ্রামটি সংবাদপত্রে প্রকাশ করে যাতে মনে হয় বেনেদিতি অপমানিত হয়েছেন। ফলে এই ঘটনার কারণে ফ্রান্স এবং প্রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ অনিবার্য হয়। এই ঘটনা এমস টেলিগ্রাম নামে পরিচিত।
৩.২. প্যারি কমিউন গঠনের উদ্দেশ্যে কী ছিল?
উত্তর - ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে তৃতীয় নেপোলিয়ন সেডানের যুদ্ধে পরাজিত হলে ফ্রান্সে কমিউন বা শ্রমিকদের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। যা, প্যারি কমিউন নামে পরিচিত। ফ্রান্সে শ্রমিকশ্রেণির দ্বারা এই প্যারি কমিউন গঠনের অনেকগুলি উদ্দেশ্য ছিল -
(ক) সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে মিল রেখে শ্রমিকদের মর্যাদা,সুরক্ষা এবং বেতনের সমতা বিধান করা।
(খ) বৈপ্লবিক আদর্শে উদ্বুদ্ধ প্যারিসের গৌরব ও মর্যাদা ফিরিয়ে আনা।(গ) শ্রমিকদের জন্য একাধিক জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা । ঠিকা মজুরদের রাত্রিকালীন নিষিদ্ধ করে ।
৪. সাত বা আটটি বাক্যে উত্তর দাও :
জার্মানির ঐক্য আন্দোলনে বিসমার্কের ভূমিকার উল্লেখ করো।
উত্তর - ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দে ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের প্রভাবে জার্মানির গণতান্ত্রিক ও জাতীয়তাবাদী আন্দোলন প্রথম গতি পায়। পরবর্তীকালে ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে বিসমার্ক প্রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী পদে নিযুক্ত হওয়ার সাথে সাথেই জার্মানির ঐক্য আন্দোলন আরো অনেক গুণ শক্তিশালী হয় এবং সঠিক পথে অগ্রসর হয়।
বিসমার্কের নীতি:- জার্মানির ঐক্যসাধনের প্রচেষ্টায় বিসমার্কের নীতিগুলি ছিল উল্লেখযোগ্য -
(ক) ক্যাভুরের মতো রাজতন্ত্রে তার গভীর আস্থা ছিল।
(খ) গণতন্ত্র বা পার্লামেন্ট সম্পর্কে তাঁর কোনো প্রকার শ্রদ্ধা ছিল না।
(গ) তিনি মনে করতেন, জার্মানির ঐক্য স্থাপনের জন্য প্রয়োজন একমাত্র- রক্ত-লৌহ নীতি।
(ঘ) তিনি বিশ্বাস করতেন, শুধুমাত্র সামরিক শক্তি এবং কূটনৈতিক বুদ্ধি দেশের যে-কোনো সমস্যার সমাধানের একমাত্র অস্ত্র।
বিসমার্কের এই নীতির প্রয়োগ:- বিসমার্ক তাঁর রক্ত-লৌহ নীতি প্রয়োগ করে, একাধিক যুদ্ধ-বিগ্রহের মাধ্যমে জার্মানির ঐক্যের পথ সূচিত করেছিল।
(ক) ডেনমার্কের সাথে যুদ্ধ : স্লেজউইগ ও হলস্টিন প্রদেশের সমস্যা কে কেন্দ্র করে বিসমার্ক তার পরিকল্পনাকে কাজে লাগানোর প্রথম সযোগ পেয়েছিলেন।
